ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫ , ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ভোগান্তিতে নগরবাসী নারী শ্রমিককে ভারতে পাচার দু’জনের যাবজ্জীবন ক্ষমা চেয়েও শেষ রক্ষা হলো না, কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা পূর্বাঞ্চলের ট্রেন যাত্রীদের বেড়েছে নিরাপত্তা ঝুঁকি জাবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পুনর্বহালের দাবি মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সৎ বাবার প্রাণদণ্ড মিরপুরে গুলি করে ২২ লাখ টাকা ছিনতাই গ্রেফতার ৬ রাজধানীতে বেপরোয়া ছিনতাইকারীরা নগর ভবনে ইশরাক সমর্থকদের অবস্থান কর্মসূচি পালন নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে অনিয়ম চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হাইকোর্টের ৪৯ বেঞ্চ গঠন, আগামী রোববার থেকে বিচারকাজ তথ্য গোপন করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে ২ বছরের কারাদণ্ড ব্যাংকিং খাতে ভয়াবহ সঙ্কট সেনাপ্রধানের সঙ্গে ডব্লিউজিইআইডির ভাইস চেয়ারপারসনের সাক্ষাৎ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ দাবি ইশরাকের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হবে না-নুরুল হক নুর ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে নেতা-কর্মীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ রিজভীর রমজানের আগে নির্বাচনের ব্যাপারে জাতীয় ঐকমত্য আছে পর্যবেক্ষক নীতিমালা চূড়ান্ত ‘ভুয়া’ সংস্থাকে নিবন্ধন নয়-নির্বাচন কমিশন

রাজধানীতে বেপরোয়া ছিনতাইকারীরা

  • আপলোড সময় : ১৯-০৬-২০২৫ ১২:২১:৫৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০৬-২০২৫ ১২:২১:৫৫ পূর্বাহ্ন
রাজধানীতে বেপরোয়া ছিনতাইকারীরা
উত্তরা থেকে মঞ্জুর মোল্লা
রাজধানীতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারীরা। নগরীর কোথাও নিরাপত্তা নেই, কখন কোথায় ছিনতাইকারীর কবলে পড়বে মানুষ তা আন্দাজ করা মুশকিল। প্রকাশ্যে যেমন জনসম্মুখে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে, তেমনি অন্ধকার, জনমানবহীন মোড়, পার্ক এমনকি গণপরিবহনেও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। ছিনতাইকারীরা নানা নেটওয়ার্ক তৈরি করে এই অপরাধ করেই যাচ্ছে। রাতের অন্ধকার নামতেই রাজধানীর রাজপথ থেকে অলিগলি-বেপরোয়া হয়ে ওঠে অপরাধচক্র। তাদের নানা অপতৎপরতায় রীতিমতো ভীতিকর ও অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়েন নাগরিকরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ, দখলবাজি, আধিপত্য বিস্তারসহ নানা তুচ্ছ ঘটনায় ঘটছে রক্তারক্তি। এছাড়া পুলিশি তৎপরতা কম থাকায় ঘটছে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। প্রায় প্রতি রাতেই কিশোর গ্যাং, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অনুসারী এবং ছিনতাইকারীদের হামলার শিকার হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, রাজধানীতে বেপরোয়াভাবে মোবাইল ছিনতাই হচ্ছে। ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটছে রাজধানীর উত্তরা, তেজগাঁও, মিরপুুর, ধানমন্ডি, ওয়ারী ও মতিঝিল এলাকায়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, গ্রেফতার হলেও উপযুক্ত সাক্ষীর অভাব বা দুর্বল সাক্ষীর কারণে কারাগার থেকে অল্প দিনেই জামিনে বের হয়ে যাচ্ছে ছিনতাইকারীরা। এরপর তারা আবার সক্রিয় হচ্ছে। কেউ কেউ ছিনতাই করে দূরে কোনো এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে বেড়ায়।
হাসপাতাল সূত্র বলছে, বাস্তবতা হচ্ছে ছিনতাই হামলার শিকার হয়ে গড়ে প্রতিদিন ৩-৪ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছিনতাইকারীর হামলায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। দিনে-দুপুরে শত শত মানুষের সামনে ছিনতাই হচ্ছে। ঘটনার পর ছিনতাইকারীদের পদচারণার দৃশ্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) ধরা পড়ছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে গ্রেফতার হচ্ছে না এরা। পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলে, তারা দেখছি-দেখবো, জড়িতরা পার পাবে না বলে ভুক্তভোগীদের সান্ত্বনা দিয়ে দায়িত্ব শেষ করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপির বেশ কয়েকটি থানার দায়িত্ব পালন করেছি। আসল সত্য হলো, প্রতিদিন যে পরিমাণ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে, থানায় সবগুলোর রেকর্ড হয় না। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, মামলা করতে ভুক্তভোগীদের নিজেদেরই অনীহা। কেউ কেউ শুধুমাত্র একটা মৌখিক কিংবা লিখিত অভিযোগ করে রাখেন। কিন্তু তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করতে রাজি থাকেন না। আবার অনেকে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েও ঘটনা আড়াল করেন।
অপরদিকে ভুক্তভোগীদের দাবি, পুলিশি ঝামেলা এড়াতেই তারা আইনি পদক্ষেপ নিতে রাজি হন না। কারণ, মামলা করে ছিনতাইকৃত মালামাল ফেরত পাওয়া এবং প্রতিকার পাওয়ারও নিশ্চয়তার উল্লেখযোগ্য নজীর নেই। ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রতিকার মেলে কম। হয়রানির ভয়ে বেশিরভাগ ভুক্তভোগী থানায় মামলা বা সাধারণ ডায়েরি করেন না। কেউ কেউ ছিনতাইয়ের শিকার হয়েও শুধুমাত্র সঙ্গে থাকা মালামাল হারিয়ে গেছে বলে শুধু জিডি করেন। ফলে ছিনতাইয়ের বেশিরভাগ ঘটনাই থেকে যায় আড়ালে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেকারত্ব, হতাশা, আর্থিক সংকট, মূল্যবোধের অবক্ষয়, মাদকের অর্থ যোগাড় এবং আইনশৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিতদের অদূরদর্শিতার কারণে ছিনতাই বেশি হচ্ছে। তাদের মতে, অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকায় আলোর ব্যবস্থা, প্রধান সড়কগুলো সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা, গ্রেফতার হওয়া ছিনতাইকারীদের শাস্তি নিশ্চিতসহ জামিনপ্রাপ্তদের কঠোর নজরদারিই ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বলেন, সর্ব প্রকার অপরাধ ঠেকাতে রাত্রিকালীন টহল, চেকপোস্টসহ পুলিশের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রে আরো বেশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যেসব অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর সঙ্গে জড়িতদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স